Wednesday, July 27, 2016

মুস্তাফিজের এমআরআই রিপোর্টে দুঃসংবাদ

এমআরআই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেখানে দুঃসংবাদই পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিও বায়েজেদুর রহমান জানিয়েছেন, কাটার মাস্টারের বাঁ কাঁধের স্ল্যাপে সমস্যা (সুপিরিয়র ল্যাব্রম টিয়ার) ধরা পড়েছে। তবে চোট কতটা গুরুতর, সেটা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। ফিজিও বলতে না পারলেও সাধারণত ল্যাব্রম টিয়ার ভালো কিছু নয়। এ ধরনের ইনজুরি খেলোয়াড়দের বেশ ভোগায়। গতকাল রাতেই এমআরআই রিপোর্ট নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের অর্থোপেডিক সার্জন টনি কোচারের সঙ্গে মুস্তাফিজের সাক্ষাৎ করার কথা। ব্রিটিশ এ চিকিৎসক বলতে পারবেন, চোট কতটা গুরুতর। আজ আবার সাসেক্সের ফিজিও পল কৌরি মুস্তাফিজকে দেখবেন। এরপর বিসিবির সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

টনি কোচার বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন। কাঁধ, কনুইয়ের অস্ত্রোপচারে তিনি বিশ্বসেরাদের অন্যতম। তিনি মুস্তাফিজের রিপোর্ট দেখে কী বলেছেন, সেটা গতকাল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বিসিবির ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ধরনের ইনজুরি দুইভাবে চিকিৎসা করা যায়। একটা হলো ইনজেকশনের মাধ্যমে, আরেকটি অস্ত্রোপচার। কাঁধের জয়েন্টে তিনটি হাড় থাকে। তিন হাড়ের সংযোগস্থলের চারপাশে একটা নরম টিস্যু থাকে। সেই টিস্যুকে ল্যাব্রম বলে। চোট যদি ওই নরম টিস্যুতে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে হয়তো বিশ্রাম ও পুনর্বাসনে সেরে ওঠা সম্ভব। কিন্তু যদি চোট ল্যাব্রম থেকে টেন্ডনে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। চোটের অবস্থা দেখে কোচার একটি বেছে নেবেন। 

জানা গেছে, অস্ত্রোপচার না করলে এ ধরনের চোট স্থায়ীভাবে উপশম হয় না। তখন যে বিষয়গুলো করলে ব্যথা হয় সেগুলো করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু মুস্তাফিজের তো এ ধরনের বিধি-নিষেধ মানা ভীষণ কঠিন। তাহলে তিনি ঠিকঠাক বোলিং করতে পারবেন না। আর অস্ত্রোপচার করা হলে মাঠে ফিরতে কমপক্ষে ছয় মাস লাগতে পারে। চার মাসের আগে অস্ত্রোপচারের স্থানটি ঠিকমতো ভরাটই হবে না। জাতীয় দলের আরেক পেসার রুবেল হোসেন এ ধরনের ইনজুরিতে পড়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর রুবেলের মাঠে ফিরতে সময় লেগেছিল ৯ মাস।

No comments:

Post a Comment