ক্রীড়া ডেস্ক : আইপিএল চলাকালীন ভারতীয় পত্রিকা দ্য হিন্দু খবর প্রকাশ করেছিল, ‘বাংলাদেশের বোলিং কোচের চাকরি ছেড়ে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির বোলিং কোচের দায়িত্ব পেতে আবেদন করেছেন হিথ স্ট্রিক।’
সে সময় ভারতেই ছিলেন স্ট্রিক। আইপিএলের দল গুজরাট লায়ন্সের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ভারতের ক্রিকেট একাডেমিতে স্ট্রিকের আবেদনের বিষয়টি স্বীকার করেছে বিসিসিআই।
জুনেই বিসিবির সঙ্গে হিথ স্ট্রিকের চুক্তি শেষ হয়। চুক্তি শেষ হবার আগে স্ট্রিক বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেন, চুক্তি নবায়ন করছেন না তিনি।
ভারতে চাকরির আশায় বিসিবির সঙ্গে চুক্তি করেননি স্ট্রিক। কিন্তু সহসাই ভারতের চাকরিও পাচ্ছেন না জিম্বাবুয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক।
টাইমস অব ইন্ডিয়া শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে, বিসিসিআই শেষ কয়েক মাস ধরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির জন্য স্থায়ী পেস বোলিং কোচ খুঁজছে। কিন্তু যোগ্য কাউকে পাচ্ছে না।
বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু দিনের মধ্যেই কোচ নিয়োগের নতুন বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। বার্ষিক ৬০ লাখ রুপি দেওয়া হবে জাতীয় একাডেমির বোলিং কোচকে।
এদিকে দুটি শর্ত দিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। কোচকে অবশ্যই বেঙ্গালুরুর বাইরের হতে হবে এবং আইপিএলের কোনো দলের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না।
এদিকে কোচ না পাওয়ার পেছনে বেতন বৈষম্যের বিষয়টি চলে এসেছে। ভারতীয় জাতীয় দলের সহকারী বোলিং কোচ বার্ষিক এক কোটি বা দেড় কোটি রূপি বেতন পান। সেখানে একাডেমির কোচ পাবেন মাত্র ৬০ লাখ রুপি। বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় দলের সহকারী কোচ ও একাডেমির কোচের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
জানা গেছে, ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ ও ২৩ দলের কোচ দিন চুক্তিতে ক্যাম্পে যোগ দেন। টেস্ট খেলেছেন এমন কোচ দৈনিক ৬ হাজার ৪২০ রুপি ও টেস্ট খেলেননি এমন কোচ দৈনিক ৪ হাজার ৫০০ রুপি পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। যদিও আপাতত একাডেমির কোচ নিয়ে কিছু ভাবছে না বিসিসিআই। একাডেমির জন্যে বোলিং কোচ খুঁজছে ভারতের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
No comments:
Post a Comment