Wednesday, July 27, 2016

ব্রাডম্যানের অতিমানবীয় কিছু কীর্তি

১৯৪৮ সালে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়ে যাওয়ার হতাশা জীবিত থাকতে যথেষ্ট পুড়িয়েছে ডন ব্রাডম্যানকে। জীবনের ইনিংস শেষে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকদিন হলো। তারপরও ক্রিকেটীয় অতিমানবীয় কীর্তির কারণে বারবারই আলোচনায় আসেন সর্বকালের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার ব্রাডম্যান।
১৯৪৮ সালের এই দিনে ক্যারিয়ারের ২৯ ও শেষতম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ব্রাডম্যান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হলো-

ডোনাল্ড ব্রাডম্যান ঈর্ষণীয় ৯৯.৯৪ গড়ে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে মাত্র ৪ রান করতে পারলেই তার গড়টা ১০০ ছুঁতে পারত। যেকোনো খেলোয়াড়ের কাছেই গড়টা অস্পর্শনীয়!

এক সিরিজে সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি ও একটি করে সেঞ্চুরি ও ট্রিপল সেঞ্চুরির সাহায্যে ৯৭৪ রান করেন ডন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের রেকর্ড-সর্বোচ্চ ১২টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ডন।

ব্রায়ান লারা ও বীরেন্দর শেবাগের সমান দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন ব্রাডম্যান।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।

১০০ বা ততোধিক গড়ে সাতবার মৌসুম শেষ করেন সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার।

রেকর্ড-সর্বোচ্চ ছয়বার এক সেশনে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েন তিনি।

একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৫ হাজার রান করার কীর্তি গড়েন ব্রাডম্যান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০২৮ রান করেন তিনি। অবশ্য তখন টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্য ছিল হাতে গোনা।

একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টানা ছয়টি টেস্টে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েন ব্রাডম্যান।

একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এক সিরিজেই তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করার অতিমাবনবীয় কীর্তি গড়েন ব্রাডম্যান। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজে ২৫৪, ৩৩৩ ও ২৩২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

২০০০ সালে উইজডেন ক্রিকেট অ্যালমানাক কর্তৃক বিংশ শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি।

দীর্ঘ এক বছরেও রাঙামাটি ক্রিকেট লীগের বকেয়া টাকা পায়নি ক্লাবগুলো!

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট ক্লাবগুলো দীর্ঘ এক বছরেও ১ম বিভাগ ক্রিকেটলীগের বকেয়া টাকা না পেয়ে অার্থিক সংকটে পড়েছে। রাঙামাটি পৌরসভা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহনকারী ১০ টি ক্লাব লীগ শেষ হওয়ার দীর্ঘ ১ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-পরিষদ প্রতিশ্রুত অংশগ্রহন টাকা ও ফাইনালের চ্যাম্পিয়ন-রানার্সঅাপ দলের প্রাইজমানি পায়নি।
ক্রিকেট লীগ শুরু হওয়ার সময় ক্রিকেট উপ-পরিষদের অাহবায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সাধারন সম্পাদক অাবু সাদাৎ মোঃ সায়েম অংশগ্রহনকারী প্রতিটি দলকে ৫০ হাজার টাকা করে,চ্যাম্পিয়ন ৫০ হাজার ও রানার্সঅাপকে ৩০ হাজার করে টাকা ক্লাবগুলোর সাথে বৈঠকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত ক্লাবগুলো বিগত জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অান্তরিকতায় অংশগ্রহনের কিছু টাকা পেলেও বাকী টাকা অাদৌ পাবে কিনা ক্লাবগুলো দুশ্চিন্তায় পড়েছে।এদিকে ক্লাবগুলোর কর্মকর্তারা বিভিন্ন হোটেল,দোকান ও খেলোয়ারদের পাওনা টাকা যথাসময়ে দিতে না পেরে অনেকটা লজ্জায় লোক চক্ষুর অাড়ালে রয়েছেন।ক্লাব কর্মকর্তারা দুঃখ করে বলছেন ক্রীড়া সংগঠন চালাতে গিয়ে যদি নিজের ব্যাক্তিগত ইমেজ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে ভবিষ্যতে অার কোন জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইভেন্টে অংশ করার অাগে অামাদের ভাবতে হবে।ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহন করে অামরা তো কোন অপরাধ করিনি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা অামাদের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করবে বলে অামরা দলগুলো ঐভাবে ভালো খেলোয়ার দিয়ে সাজিয়েছি।রঙ্গিন জার্সি বানিয়েছি।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভালো খেলোয়ারকে কোটায় এনে খেলিয়েছি।অামাদের প্রতিশ্রুতি টাকা না দিলে অামরা এত টাকা খরচ করে দল করতে যেতাম না।অাজ লীগ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থার কথা চিন্তা করে স্পোর্টিং স্পিরিটে প্রতিশ্রুত টাকা ছাড়া ধারদেনা করে লীগের খেলা শেষ করেছি।কিন্তু জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদাসহীনতায় অামরা ব্যাক্তিগত সংকটে পড়েছি।কারো সাথে কোন কমিটমেন্ট রাখতে না পারায় অামাদের প্রতি ব্যাবসায়ী ও খেলোয়ারদের বিশ্বাস উঠে গেছে যা অামাদের ভবিষ্যতে ভোগাবে।প্রতিশ্রুত বকেয়া টাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা দ্রুত দিয়ে হলেও কিছুটা সংকট দূর করবে বলে ক্লাবগুলো কর্মকর্তারা অাশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

মুস্তাফিজের এমআরআই রিপোর্টে দুঃসংবাদ

এমআরআই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেখানে দুঃসংবাদই পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিও বায়েজেদুর রহমান জানিয়েছেন, কাটার মাস্টারের বাঁ কাঁধের স্ল্যাপে সমস্যা (সুপিরিয়র ল্যাব্রম টিয়ার) ধরা পড়েছে। তবে চোট কতটা গুরুতর, সেটা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। ফিজিও বলতে না পারলেও সাধারণত ল্যাব্রম টিয়ার ভালো কিছু নয়। এ ধরনের ইনজুরি খেলোয়াড়দের বেশ ভোগায়। গতকাল রাতেই এমআরআই রিপোর্ট নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের অর্থোপেডিক সার্জন টনি কোচারের সঙ্গে মুস্তাফিজের সাক্ষাৎ করার কথা। ব্রিটিশ এ চিকিৎসক বলতে পারবেন, চোট কতটা গুরুতর। আজ আবার সাসেক্সের ফিজিও পল কৌরি মুস্তাফিজকে দেখবেন। এরপর বিসিবির সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

টনি কোচার বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন। কাঁধ, কনুইয়ের অস্ত্রোপচারে তিনি বিশ্বসেরাদের অন্যতম। তিনি মুস্তাফিজের রিপোর্ট দেখে কী বলেছেন, সেটা গতকাল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বিসিবির ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ধরনের ইনজুরি দুইভাবে চিকিৎসা করা যায়। একটা হলো ইনজেকশনের মাধ্যমে, আরেকটি অস্ত্রোপচার। কাঁধের জয়েন্টে তিনটি হাড় থাকে। তিন হাড়ের সংযোগস্থলের চারপাশে একটা নরম টিস্যু থাকে। সেই টিস্যুকে ল্যাব্রম বলে। চোট যদি ওই নরম টিস্যুতে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে হয়তো বিশ্রাম ও পুনর্বাসনে সেরে ওঠা সম্ভব। কিন্তু যদি চোট ল্যাব্রম থেকে টেন্ডনে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। চোটের অবস্থা দেখে কোচার একটি বেছে নেবেন। 

জানা গেছে, অস্ত্রোপচার না করলে এ ধরনের চোট স্থায়ীভাবে উপশম হয় না। তখন যে বিষয়গুলো করলে ব্যথা হয় সেগুলো করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু মুস্তাফিজের তো এ ধরনের বিধি-নিষেধ মানা ভীষণ কঠিন। তাহলে তিনি ঠিকঠাক বোলিং করতে পারবেন না। আর অস্ত্রোপচার করা হলে মাঠে ফিরতে কমপক্ষে ছয় মাস লাগতে পারে। চার মাসের আগে অস্ত্রোপচারের স্থানটি ঠিকমতো ভরাটই হবে না। জাতীয় দলের আরেক পেসার রুবেল হোসেন এ ধরনের ইনজুরিতে পড়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর রুবেলের মাঠে ফিরতে সময় লেগেছিল ৯ মাস।

চলছে রুট–বন্দনা

লর্ডসে তাঁর ব্যাট হাসেনি। প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানের একটা ইনিংস আছে বটে, কিন্তু সেখানে তাঁকে ঠিক জো রুট মনে হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই টেস্টটাও হেরেছিল ইংল্যান্ড। সেই দায়টা অবশ্য একা রুটের নয়। তবে ব্যাট হাতে দলের সবচেয়ে বড় আস্থা যেহেতু তিনিই, ওল্ড ট্রাফোর্ডে পরের টেস্টটায় তাঁর দায়িত্ব আরেকটু বেড়ে গিয়েছিল। সেই দায়িত্ব কী দারুণভাবেই না পালন করলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার-সেরা ২৫৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪৮ বলে ৭১! শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৩৩০ রানের জয়ে সবচেয়ে বড় নায়ক যে রুটই, তাতে তাই মনে হয় না সন্দেহ আছে কারও। ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক আর পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক, দুজনের মুখেই তাই রুটের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। দুজনই মেনে নিয়েছেন, এই টেস্টে দুই দলের ব্যবধান ছিলেন একজন—জো রুট!
কুকের উচ্ছ্বাসটা যে বেশি হবে, সেটিই স্বাভাবিক। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেই বলেছেন, ‘জো বিশ্বমানের খেলোয়াড়। এটা দুর্দান্ত ইনিংস। আমার দেখা অন্যতম সেরা। ওই ইনিংসটাই ম্যাচটা আমাদের হাতে এনে দিয়েছে।’
প্রথম ইনিংসে কুক নিজেও সেঞ্চুরি করেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ বলে ৭৬। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে যে কিছুটা স্বভাববিরুদ্ধ খেলে ঝোড়ো গতিতে রান করেছেন, সেই কৃতিত্বটাও রুটকেই দিলেন কুক। রসিকতা করে বলেছেন, ‘ও একটা কাজ খুব ভালো পারে—স্কোরবোর্ডটা সচল রাখে। ফলে আমার মতো ঠেকিয়ে খেলা ব্যাটসম্যানকেও ওর সঙ্গে তাল মেলাতে হয়।’
শুধু দ্রুত রান তোলাই নয়, দলের প্রয়োজনে রুট যে বেশ ঠেকিয়েও খেলতে পারেন, সেটি অবশ্য অনেক আগে প্রমাণ করেছেন। ২০১২ সালে ভারত সফরে টেস্টে অভিষেক ইনিংসেই ৭৩ রান করেছিলেন ২২৯ বল খেলে। সেদিন থেকেই নতুন সম্ভাবনা হিসেবে আবির্ভূত। ৪৪ টেস্টে ৫৬.১৫ গড়ে ৩৮৭৫ রানই বলে দিচ্ছে সেই সম্ভাবনাকে কেমন পূর্ণতা দিয়েছেন। টেস্টে ১০টি সেঞ্চুরি করেছেন, যার দুটি ডাবল—একটিতেও ইংল্যান্ড হারেনি। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে রুটের রান ৩২৫। গত ৫০ বছরে ইংল্যান্ডের হয়ে এক টেস্টে তাঁর চেয়ে বেশি রান করেছেন শুধু গ্রাহাম গুচ (১৯৯০ সালে লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে ৪৫৬)।
বয়স ২৬ চলছে, এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের হয়ে ছয়বার টেস্টে ম্যাচসেরা হয়েছেন রুট। ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে এই বয়সে টেস্টে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচসেরা হয়েছেন শুধু ইয়ান বোথাম (৯ বার)। সব মিলিয়ে এখন রুটে মুগ্ধ তাঁর প্রতিপক্ষরাও। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের পর তাই পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহও বলেছেন, ‘যেভাবে রুট এই টেস্টে ব্যাটিং করেছে, সেটি অসাধারণ। দুর্দান্ত ইনিংস। লর্ডস আর এই টেস্টের মধ্যে ব্যবধান ছিল রুট ও কুকের ব্যাটিং।’
তবে এই ইনিংসের পর রুট সবচেয়ে বড় প্রশংসাটা পেয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফের কাছ থেকে। তাঁর মতে, ‘এটা একটা বাঁধিয়ে রাখার মতো ইনিংস।’ শুধু তা-ই নয়, এই সময়ের অন্য দুই সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স ও বিরাট কোহলির চেয়েও রুটকে এগিয়ে রেখেছেন ইউসুফ, ‘মাত্র কয়েক বছর ধরে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। এরই মধ্যে তিন সংস্করণে ওর গড় বলে দিচ্ছে সে কেমন ব্যাটসম্যান। আমার মতে, সে-ই এখন এক নম্বর।’ তথ্যসূত্র: এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

৮১ বছর পুরোনো রেকর্ড ভাঙলেন অচেনা সান্দাকান

অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেন সান্দাকান। এএফপিপ্রথম দিনের হতাশাটা কাটিয়ে উঠতে সময় নেয়নি শ্রীলঙ্কা। নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ম্যাচেই অভিষিক্ত লক্ষণ সান্দাকান। চায়নাম্যান বোলার হিসেবে অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন সান্দাকান। অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ২০৩ রানে অলআউট করে দিয়েছে স্বাগতিক দল। তবু ৮৬ রানের লিড পেয়ে গেছে সফরকারীরা।
২ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ধাক্কা, মাত্র ৪ রানেই ফিরে গেলেন আগের দিনে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ ও উসমান খাজা। ৬০ রানের এক জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে লিড এনে দেন অ্যাডাম ভোজেস ও মিচেল মার্শ। কিন্তু এরপরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। রঙ্গনা হেরাথ ও সান্দাকানের স্পিনে থিতুই হতে পারেননি কেউ। বাঁহাতি লেগ স্পিনে নাজেহাল হয়েছেন প্রায় সবাই। সর্বোচ্চ ৪৭ রান ভোজেসের। স্টিভ ও’কিফ, মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়নরা মিলেই অস্ট্রেলিয়াকে দুই শ পার করে দিয়েছেন।
৫৮ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন সান্দাকান। টেস্ট ইতিহাসে অভিষেকে তাঁর চেয়ে ভালো বোলিং আর কোনো বাঁহাতি লেগ স্পিনার করেননি। অস্ট্রেলিয়ান চাক ফ্লিটউড স্মিথ ১৯৩৫ সালে অভিষেকে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ৬৪ রান দিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ রানেই ১ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। উইকেট-বৃষ্টি কিন্তু চলছেই। দুই ​দিন শেষ হয়নি এখনো। পড়ে গেছে ২৩ উইকেট। সূত্র: টেন ক্রিকেট।

Monday, July 18, 2016

২০ বছর পর পাকিস্তানের লর্ডস জয়

ইতিহাসটা যে হতে যাচ্ছে সেটা বোঝা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর খানিকবাদেই। ৪৭ রানেই স্বাগতিকদের তিনটি উইকেট নিয়ে উৎসবে আতিশায্যটা এনে দিয়েছিলেন রাহাত আলী। এরপর ইংলিশদের কফিনে শেষ পেরেকগুলো ঠুকেন ইয়াসির শাহ। এই বোলারের বোলিং নৈপূন্যে ১৯৯৬ সালের পর লর্ডস টেস্টে জয় পেয়েছে সফরকারী পাকিস্তান।

পাকিস্তানের দেয়া ২৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। শুরুতেই ফিরে যান ইংলিশ অধিনায়ক ও ওপেনার অ্যালিস্টার কুক। ব্যক্তিগত ৮ রানে তাকে ফেরান রাহাত আলী। এরপর অ্যালেক্স হেলস তিন নম্বরে নামা জো রুটকেও ফেরান এই পেসার।

মাঝে জেমস ভিঞ্চ, গ্যারি ব্যালান্স আর জনি বেয়ারস্টো দলকে জয়ের  রাস্তা দেখানোর চেষ্টা করেন। তবে ইয়াসির শাহর ঘূর্ণিতে সফল হননি কেউই। শেষ দিকে ক্রিস ওকস চেষ্টা করেছিলেন বটে তবে যোগ্য সাহচার্য না পা্ওয়ায় দলকে জেতাতে পারেন নি তিনিও।

ভিঞ্চ ৪২, ব্যালান্স ৪৩ আর জনি বেয়ারস্টো করেন সবোর্চ্চ ৪৮ রান। ক্রিস উকস করেন ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত ২০৭ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ইয়াসির শাহ আরও চারটি উইকেট তুলে নেন।

রাহাত আলি তিনটি ও মোহাম্মদ আমির দুটি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৩৯ রান। জবাবে ২৭২ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান করে ২১৫ রান। ফলে জয়ের জন্য ইংলিশদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৩ রান।

২০ বছর আগে, ১৯৯৬ সালে ওয়াসিম আকরামে নেতৃত্বে শেষবার লর্ডসে টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। সেবার স্বাগতিকদের ১৬৪ রানে হারিয়েছিল ইনজামাম-ইজাজ-সাঈদ আনোয়ারের পাকিস্তান।

Sunday, July 17, 2016

বোলারদের যে তালিকায় হাবিবুল পাঁচে

হাবিবুল, বোলার হিসেবে আছে দুই রকম অভিজ্ঞতাই।এই তালিকায় থাকতে চাইবেন না কোনো বোলারই। লেন হুপউডও নিশ্চয় চাননি। কিন্তু না চাইলেই–বা কী! ৮২ বছর ধরে যে তালিকার শীর্ষ জায়গাটি ধরে রেখেছেন এই ইংলিশ বাঁহাতি পেসার! ১৯৩৪ সালে ঘরের মাঠে অ্যাশেজেতে দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন হুপউড। ৩ ইনিংসে বোলিং করেছিলেন ৭৭ ওভার। ৪৬২টি বল করে উইকেটের দেখা পাননি ইংলিশ পেসার। এরপর আর কোনো টেস্ট না খেলা হুপউডই সবচেয়ে বেশি বল করে উইকেটশূন্য থাকা বোলার।

বোলারদের এই হতাশার তালিকার ৩ নম্বরে আছেন বাংলাদেশের পেসার আনোয়ার হোসেন মনির। ৩৪৮টি বল করে উইকেটশূন্য থেকেছেন তিনি। তালিকার ৫ নম্বর বোলারটি কে জানেন? হাবিবুল বাশার। ২৮২টি বল করে উইকেটের দেখা পাননি ‘মি. ফিফটি’। রেকর্ডটি শুনে চমকেই গেলেন হাবিবুল, ‘কী বলেন, জানতাম না তো! আসলে বোলিংটা গুরুত্বের সঙ্গে নিইনি কখনো। দলের বোলাররা ক্লান্ত হয়ে পড়লে আমাকে একটু-আধটু হাত ঘোরাতে হতো, এই আরকি।’

খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরি (২৭টি) তাঁরই। ব্যাটসম্যান হাবিবুলের বোলিং নিয়ে ভাবার সময় কোথায়? ৫০ টেস্টে ৯ ইনিংসে অফ স্পিনার হিসেবে হাত ঘুরিয়েছেন ৪৭ ওভার। তো বোলিং শক্তির জায়গা ছিল কোনটি? হাসিতে ফেটে পড়লেন বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়ক, ‘শক্তি নয়, ওটাই আমার দুর্বল জায়গা। আসলে ব্যাটিং নিয়েই বেশি ভেবেছি। ক্যারিয়ারের শুরুতে মাঝেমধ্যেই বোলিং করলেও টেস্ট খেলা শুরুর পর আর তেমন করিনি। তবে একটা দুঃখ আছে। কলম্বো টেস্টে (২০০২ সালে) পাইলট (খালেদ মাসুদ) একবার মাইকেল ভ্যানডর্টের ক্যাচ ছেড়েছিল। ওটা ধরতে পারলে টেস্ট ক্যারিয়ারে একটা উইকেট অন্তত যোগ হতো।’

টেস্টে বোলার হাবিবুলের সাফল্যের খাতা শূন্য থাকলেও ওয়ানডেতে কিন্তু গৌরব করার মতো উইকেট আছে। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশের বোলারদের কচুকাটা করছিলেন ব্রায়ান লারা। ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ৬২ বলে করে ফেলেছিলেন ১১৭ রান! ২০তম ওভারে ত্রাস হয়ে ওঠা লারাকে বোল্ড করে দিয়েছিলেন হাবিবুল। বোলিং ক্যারিয়ারে তাঁর সবেধন নীলমণি হয়ে আছে ওই একটি উইকেট। সেটিও লারার!

সেই ম্যাচের কিছুদিন পর ঢাকায় খেলতে আসা পাকিস্তানের মনজুর আখতার লারার আউট নিয়ে দারুণ এক রসিকতা করেছিলেন হাবিবুলের সঙ্গে। বিসিবির এই নির্বাচকের হঠাৎই মনে পড়ে গেল সেই মজার স্মৃতি, ‘আমরা তখন বিমানে খেলছি। অনুশীলনে একদিন ওর সঙ্গে গল্প করছিলাম, জানো আমি তো লারার উইকেট পেয়েছি! সে আমার দিকে অবাক হয়ে বলল, ওর অবস্থা এত বাজে হয়ে গেছে যে তুমিও ওকে আউট করেছো!’

এক দিকে লারার উইকেট, অন্য দিকে উইকেটশূন্য থাকার রেকর্ড—বোলার হাবিবুলের অভিজ্ঞতাটা বেশ বৈপরীত্য মাখা!

Saturday, July 16, 2016

ডাক মেরেও মিসবাহর রেকর্ড

মিসবাহ, ভেঙসরকার, ডেভিস ও বার্নস
মিসবাহ, ভেঙসরকার, ডেভিস ও বার্নস
ক্রীড়া ডেস্ক : মিসবাহ-উল-হকের সময়ে এর আগে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলেছে পাকিস্তান। কিন্তু নানা কারণে পাকিস্তান টেস্ট দলে তখন জায়গা হয়নি মিসবাহর। এবার তার নেতৃত্বেই ইংল্যান্ড সফর করছে পাকিস্তান দল। বৃহস্পতিবার লর্ডসে শুরু হয়েছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের ব্যাটিং দৃঢ়তায় তারা প্রথম ইনিংসে ৩৩৯ রান সংগ্রহ করে। মিসবাহ বেশি বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকান (১১৪)।

শুধু তাই নয় ইংল্যান্ডে ও লর্ডসে নিজের প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার অনন্য কীর্তি স্থাপন করেন তিনি। শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন মিসবাহ। অনেকেই আশা করেছিলেন এবারও হয়তো ভালো একটি ইনিংস খেলবেন তিনি। কিন্তু না। মঈন আলীর বলে আলেক্স হেলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

ডাক মেরে সাজঘরে ফিরলেও রেকর্ড হয়েছে। লর্ডসে নিজের প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও পরের ইনিংসে ডাক মারা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ খেলোয়াড় তিনি।

তার আগে ১৯৪৮ সালে লর্ডসে প্রথম ইনিংসে ডাক ও পরের ইনিংসে ১৪১ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান সিড বার্নস। ১৯৬৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার চার্লি ডেভিস প্রথম ইনিংসে ১০৩ রান করেন। পরের ইনিংসে ডাক মারেন। আর ১৯৭৯ সালে ভারতের ব্যাটসম্যান দিলীপ ভেঙসরকারও একই কীর্তি করেছিলেন। তিনি প্রথম ইনিংসে ডক মারেন। কিন্তু পরের ইনিংসে ১০৩ রান করেন।

নাম                            প্রথম/দ্বিতীয় ইনিংস          মুখোমুখি                            সাল
সিড বার্নস                          ০/১৪১                  অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড        ২৪ জুন ১৯৪৮
চার্লি ডেভিস                        ১০৩/০                  উইন্ডিস-ইংল্যান্ড          ২৬ জুন ১৯৬৯
দিলীপ ভেঙসরকার               ০/১০৩                  ভারত-ইংল্যান্ড             ২ আগস্ট ১৯৭৯
মিসবাহ-উল-হক                  ১১৪/০                  পাকিস্তান-ইংল্যান্ড          ১৪ জুলাই ২০১৬

ভারতের মিনি আইপিএলে আইসিসিতে আপত্তি

সেপ্টেম্বরে মিনি আইপিএল করার আইডিয়া আরো একটি ধাক্কা খেলো। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বানিজ্যের কথা ভেবে এই পরিকল্পনাটা করছিল। কিন্তু ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির বার্ষিক সভায় এটি তুলতেই আপত্তি উঠে এলো। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট বোর্ড এমনটা হতে দিতে নারাজ। আইসিসিরও অবশ্য ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের অবসর সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি আসর করার পরিকল্পনা করছে।

বিসিসিআই হিসেব কষে দেখেছে বোর্ডে বড় অংকের টাকা তোলার সুযোগ আছে সামনে। সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থাকে না। এই সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্রিকেটের জন্য আগে বরাদ্দ ছিল। তাও হয় না। সুতরাং, দেশের বাইরে এই সময়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি আইপিএল নামিয়ে দিলে আয় নেহাত কম হবে না। বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঢাকুর গত মাসে আইসিসির সভায় প্রস্তাবটা তুললেন। কিন্তু হালে পানি পেলেন না।

আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। অনুরাগের আগের বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। মনোহর পরিকল্পনা করছেন বিশ্ব টি-টোয়েন্টি আসর দুই বছর পর পর আয়োজন করতে। ভারতের সাম্প্রতিব বিশ্বকাপ সাফল্য এদিক নিয়েই ভাবাচ্ছে আইসিসিকে। তারা স্টারের সাথে টেলিভিশন স্বত্ব নিয়েও নাকি আলাপ করছে। অনুরাগের সাথে মিনি আইপিএল নিয়ে কথা বলার আগ্রহ নাকি নেই মনোহরের।

বিসিসিআইএর একটি সূত্র জানাচ্ছে, "ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যারা চালাচ্ছে তাদের জন্য এটা বিব্রতকর পরিস্থিতি।" তা তো হতেই হবে। কারণ, মিনি আইপিএল করার নীতিগত একটি সিদ্ধান্ত বিসিসিআই তাদের শেষ সভায় নিয়েছে। আইপিএল মালিক ও প্রধান নির্বাহীদের সাথে গত সপ্তাহে বোর্ডের একটি বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু বিসিসিআই কোনো ব্যাখা ছাড়াই এই সভা বাতিল করেছে। বোঝা যাচ্ছে, মিনি আইপিএলের পরিকল্পনা নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই অনুরাগ অ্যান্ড কোং।

Friday, July 15, 2016

এইচপি ক্যাম্প খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছি-মিরাজ

২৫ জন ক্রিকেটার নিয়ে কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্প। এর আগে আজ জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে রিপোর্ট করতে হবে খেলোয়াড়দের। এই এইচপি কার্যক্রমে রয়েছেন সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান। কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে জানালেন এই ক্যাম্প নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা।

কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : এবারের এইচপি ক্যাম্পে থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

মেহেদী হাসান : আমরা যে ২৪-২৫ জন রয়েছি, সবার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন তো কোনো খেলা নেই। অনুশীলন করতে হয় নিজের মতো করে। এখন এইচপি থাকার কারণে সবাই নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে চলে আসব। ফলে সেটি দক্ষতা বাড়াতে কাজে লাগবে। আর সামনে যখন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট হবে, সেখানে আরো বেশি প্রস্তুত হয়ে আমরা মাঠে নামতে পারব। আর সবার কথা বাদ দিয়ে যদি শুধু নিজেরটা বলি, তাহলেও এইচপি ক্যাম্প আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন : কেন?

মেহেদী : কারণ প্রিমিয়ার লিগ আমার ততটা ভালো যায়নি। খুব খারাপ খেলেছি, তা নয়। তবে প্রত্যাশামতো খেলতে পারিনি। আর ওই খেলার পর একটা গ্যাপও তো হয়ে গেছে। আমাদের দল কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি রেলিগেশনে পড়ে গেছে। সুপার লিগে না ওঠার কারণে এক-দেড় মাস মাঠের বাইরে। সে কারণে এইচপিতে আরো বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।

প্রশ্ন : লিগে ১১ ম্যাচে ২৩০ রান এবং ১০ উইকেট। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শেষে আরো ভালো করার আশা ছিল নিশ্চয়ই?

মেহেদী : অবশ্যই। সেটি আমি আগেই বললাম। নিজের কাছে নিজের যে আশা ছিল, সেটিই মেটাতে পারিনি। এখানে অনেকগুলো বিষয় কাজ করেছে। আমাদের দলটা ভালো হয়নি। খুব একটা ম্যাচ জিততে পারিনি। তো ম্যাচ জিততে না থাকলে নিজের ভালো খেলার প্রেরণাতেও ঘাটতি দেখা দেয়। হয়তো আমার ক্ষেত্রেও সেটি হয়েছিল। তার ওপর আমি ঠিক একশ ভাগ সুস্থ ছিলাম না। কাঁধের ইনজুরি ভুগিয়েছে খুব। সব মিলিয়ে লিগে যতটা ভালো করার কথা ছিল, ততটা পারিনি।

প্রশ্ন : ইনজুরির এখন কী অবস্থা?

মেহেদী : ভালো। আগের চেয়ে অনেক ভালো। বলা যায়, ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সেরে গেছে। বাকি ১০-২০ শতাংশ সারতে সময় লাগবে না। আমি এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ভেতরে রয়েছি। কিছু দিনের মধ্যেই পুরোপুরি ফিট হয়ে যাব।

প্রশ্ন : জাতীয় দলে খেলার লক্ষ্যপূরণ কত দূরে?

মেহেদী : সেই স্বপ্ন তো রয়েছেই। তবে ঠিক এই মুহূর্তে সেটি ভাবছি না। আমি ধাপে ধাপে এগোনোয় বিশ্বাসী। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর প্রিমিয়ার লিগে যেমনভাবে এগোতে চেয়েছি, সেটি হয়নি। এ কারণে এইচপি ক্যাম্প আমি খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছি। এখানে পরিশ্রম করে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরি করব।