Saturday, August 6, 2016

ছয় মাস ক্রিকেটের বাইরে মুস্তাফিজ

কাঁধের ইনজুরির কারণে ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে মুস্তাফিজুর রহমানকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ তো শেষই, ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরেও জাতীয় দলের সঙ্গে যেতে পারছেন না কাটার মাস্টার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) ক্রিকেটের সেরা বিজ্ঞাপনকে পাচ্ছে না সামনের আসরে। মুস্তাফিজের অপারেশন করবেন অ্যান্ড্রু ওয়ালেস। অস্ত্রোপচার করা হবে লন্ডনের বুপা ক্রমওয়েল হাসপাতালে ১১ আগস্ট স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টায়। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়। মুস্তাফিজকে সঙ্গ দিতে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী ইংল্যান্ড যাচ্ছেন।  মুস্তাফিজকে চিকিৎসার জন্য বিসিবি যোগাযোগ করেছিল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে। দুই চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিল ইসিবি। তাদের একজন লেনার্ড ফাঙ্ক, আরেকজন অ্যান্ড্রু ওয়ালেস। উভয় চিকিৎসকই অস্ত্রোপচারের পক্ষে রায় দিয়েছেন। প্রথম ফাঙ্ককে দেখানো হয়, তিনি ২২ জুলাই পর্যন্ত ছুটিতে থাকায় ওয়ালেসের অধীনেই অস্ত্রোপচার হচ্ছে মুস্তাফিজের। ওয়ালেসের অধীনে ইংলিশ ক্রিকেটার ছাড়াও ভারতীয় কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। বিসিবিও চাচ্ছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে মুস্তাফিজ যাতে সর্বোচ্চ সেবাই পান।  ৩০-৪০ মিনিটের একটি অপারেশন। হসপিটালে থাকতে হবে ছয় ঘণ্টা। কিন্তু ফিজিও এবং ট্রেনারের অধীনে পুনর্বাসন চলবে অন্তত ছয় মাস। গতকাল মিডিয়াকে দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘অ্যান্ড্রু ওয়ালেস দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস সার্জারির সঙ্গে জড়িত। ইসিবির অনেক ক্রিকেটার তার কাছ থেকে অপারেশন করিয়ে আবার খেলায় ফিরেছেন। আশা করছি, সব কিছু ঠিক থাকলে মুস্তাফিজ ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সেরে উঠবে।’ আগামী সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশে আসার কথা। যদি আসে তাহলে এই সিরিজ তো মিস হচ্ছেই। অবশ্য দেশের মাটিতে বলে মুস্তাফিজের অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করে দিতে পারেন অন্য পেসাররা। কিন্তু ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে মুস্তাফিজকে না পাওয়াটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। কিউইদের উইকেটে মুস্তাফিজকে ছাড়া বাংলাদেশের সফরটা কঠিন হয়ে যাবে।

বড় ক্ষতি হয়ে যাবে বিপিএলের। আগামী নভেম্বরে টি-২০র সেলিব্রেটি এই টুর্নামেন্টটা হওয়ার কথা। আর এই টুর্নামেন্টে সেরা আকর্ষণ হতো মুস্তাফিজই। আইপিএলে সান রাইজার্স হায়দরাবাদকে চ্যাম্পিয়ন করে দেওয়ার পর বিপিএলের আকর্ষণ বাড়াতে মুস্তাফিজ বড় ভূমিকা রাখতে পারতেন। কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। ছয় মাস ইনজুরিতে পড়ে থাকায় কাটার মাস্টার বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। অর্থের পরিমাণ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। মুস্তাফিজের ইনজুরিটা কাঁধে। এর আগে একই ইনজুরিতে পড়েছিলেন বাংলাদেশের আরেক পেসার রুবেল হোসেন। তবে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে ৯ মাস লেগেছিল তার। কিন্তু মুস্তাফিজের জন্য অতো বেশি সময় লাগবে না বলেই বিশ্বাস দেবাশিষের। মুস্তাফিজকে নিয়ে খুব বেশি সিরিয়াস বিসিবি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতো সিরিয়াসনেস থাকার পরও কেন মুস্তাফিজকে সাসেক্সে খেলানোর জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হলো? এই প্রশ্ন এখন বাতাসে উড়ছে। আইপিএল থেকে ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন মুস্তাফিজ। বেশি ম্যাচ খেলার কারণে কাটার মাস্টারের ওজন কমে গিয়েছিল। সূচি অনুযায়ী যেহেতু ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ তাই এতো অল্প সময়ের জন্য মুস্তাফিজকে কি ইংল্যান্ড না পাঠালেই হতো না!

No comments:

Post a Comment