Saturday, August 20, 2016

রাঙামাটি খেলাধুলার কারিগররা

জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় জোগাড়ের পা
১৯৬৩ সালে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য হয়েছিলেন তিনি। অথচ তখন সুনীল কান্তি দে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র! সেই তখন থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে জড়িয়ে আজকের প্রবীণ এই সংগঠক। বিভিন্ন সময় নানা দায়িত্বে ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার। ১৯৮৯ সালে নির্বাচনে জিতে হয়েছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। এই দায়িত্ব পালন করেছেন দুবার। এখন দায়িত্ব পালন করছেন সহসভাপতির। পাশাপাশি ১৯৭৪ সাল থেকে দৈনিক সংবাদের পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধির কাজ করছেন সুনীল কান্তি দে। সাংবাদিকতাটা পেশা তবে হৃদয়ের সবটুকু টান ক্রীড়াঙ্গনের জন্য। এভাবেই কাটাতে চান তিনি বাকি জীবনটা, 'রাঙামাটির ক্রীড়াঙ্গনে জড়িয়ে গেছি ওতপ্রোতভাবে। এই বয়সেও ছাড়তে পারছি না। কী আর করা, এভাবেই যেন কেটে যায় বাকি জীবনটা।'

নাছিরউদ্দিন সোহেল ক্রিকেট ছেড়েছেন ২০১০ সালে। ছিলেন রাঙামাটি জেলা দলের অধিনায়ক। তবে খেলাটা ছাড়লেও ক্রিকেটই ছাড়েনি সোহেলকে। ২০১৪ সালে করেছেন লেভেল ওয়ান কোচিং। তারও আগে করেছেন আম্পায়ারিংয়ের লেভেল 'এ' কোর্স। জেলা আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সোহেল। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন অভিলাষ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকেরও। তবে এসব ছাপিয়ে এখন বেশি ব্যস্ত এ বছর তাঁর হাতেই গড়ে ওঠা কনফিডেন্স ক্রিকেট একাডেমি নিয়ে। ২৩ জন ছাত্রে নিয়ে একাডেমির কার্যক্রম পরিচালনার কথা জানালেন, 'ক্রিকেট অনেক পিছিয়ে গেছে রাঙামাটিতে। সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে তাই দায়িত্ব নিয়ে গড়লাম এই একাডেমিটা।' এর আগে অবশ্য জেলা দলের কোচ মহিতোষ দেওয়ান গড়ে তুলেছেন রাঙামাটি ক্রিকেট একাডেমি নামের আরেকটি সংগঠন। মহিতোষ দেওয়ান করেছেন লেভেল টু কোচিংও।

বরুণ দেওয়ান জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন টানা দুবার। ২০১০ সালে প্রথম দফা দায়িত্ব পালনের পর জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা নির্বাচনে দাঁড়ান ২০১৪ সালেও। নির্বাচনের দিন বিদেশে থাকায় নিজের ভোটটা পর্যন্ত দিতে পারেননি, তার পরও জয়ী হয়েছেন ঠিকই।

এ ছাড়া রাঙামাটির সংগঠকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম দীপন তালুকদার দীপু, হাজী কামাল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, মামুনুর রশীদ, মনিরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, রমজান আলী, শফিউল আজম, আবু সাদাত ও মোহাম্মদ সায়েম।

No comments:

Post a Comment