উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনাগ্রহ, স্থানীয় এলাকাবাসীর বিরূপ আচরণে রাঙামাটির তবলছড়ি এলাকার সবুজ সংঘ মাঠটি এখন ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। নিচু জায়গায় মাঠের অবস্থান হওয়ায় আশেপাশের বাসিন্দাদের ব্যবহৃত যাবতীয় পানিও এসে মাঠের অবস্থা করুন করে রেখেছে।
বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই যেন হাটু পরিমাণ জলাবদ্ধতা। ফলে, তবলছড়ি এলাকার একমাত্র খেলার মাঠটি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বন্ধ হওয়ার উপক্রম এলাকার খেলাধুলাও। নানা আবেদন নিবেদনের পর গত ২/৩ বছর অাগে সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামালের সহযোগিতায় কিছুটা সংস্কার হলেও ভালোভাবে এই মাঠে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি গত এক দশকেও।
পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও মাঠ সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রতিবছরই। বৃষ্টির পানির সঙ্গে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার নোংরা ড্রেনের পানি মাঠে প্রবেশ করে।
এই পানির সাাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের ময়লা-আবর্জনাও এসে জমা হয় মাঠে। যার ফলে ওই নোংরা পানিতে স্থানীয়রা কোনরকম খেলাধুলা করলেও চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্থানীয় ক্রীড়াবিদরা জানান, সংস্কারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি। যার ফলে খেলার মাঠটির এই বেহাল পরিস্থিতি।
সরেজমিনের দেখা গেছে, মাঠের পানি নিষ্কাশন ড্রেন থাকলেও তা দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার নেই। নেই ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের ব্যবস্থা। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির সঙ্গে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে মাঠে জমা হচ্ছে। পুরো মাঠ জুড়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। মাঠজুড়ে জলাশয়, পাথর বালু ও পিচের স্তুপে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা ক্রীড়া বিনোদন মেটাতে যেয়ে পড়ছেন দুর্ভোগ ও অসনীয় যন্ত্রনায়। খেলার মাঠে জমে থাকা পানি, ময়লা আবর্জনা, পাথর কুচিতে খেলোয়াড়দের শরীর হচ্ছে ক্ষত বিক্ষত। যার ফলে শরীরে ঘা পাচড়া হচ্ছে।
স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা জানান, বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করা হতো মাঠটিতে। খেলেছেন জাতীয় তথা রাঙ্গামাটির নামিদামি ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু মাঠের আশেপাশের বাসিন্দাদের অসহযোগিতা ও উন্নয়ন সহযোগি প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনজরে না থাকায় কালের বিবর্তনে সবুজ সংঘ খেলার মাঠটি বিলীন হতে চলেছে।
বন্ধ হওয়ার উপক্রম খেলাধুলাও। মাঠের চারপাশে জায়গাও অপদখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ক্রীড়া সংগঠক-সমর্থকদের একটাই দাবি, ময়লা আবর্জনা, কাঁদা পানি, বালু ও পাথরের টুকরো দেখতে চাইনা। মাঠটি দ্রুত সংষ্কারের জন্য উন্নয়ন সহযোগি প্রতিষ্ঠানগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
(কৃতজ্ঞতায়ঃ মোঃহান্নান দীপ্ত ও সিএইচটি টাইমস)
No comments:
Post a Comment