খেলার মাঠসহ উন্মুক্ত জায়গার পরিমাণ কমে যাওয়ায় সব বয়সী মানুষের খেলাধুলা, শরীরচর্চাসহ চিত্তবিনোদনের সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে। কয়েক দশক আগেও মাঠ ছাড়া বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ছিল কল্পনাতীত। আর বর্তমানে কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার সুযোগ থাকার বিষয়টি বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করা হয়। মাঠ ও উন্মুক্ত জায়গার তীব্র সংকটে রাঙামাটি জেলার অনেক শিশু-কিশোর প্রায় গৃহবন্দি জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে তাদের স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। রাঙামাটি জেলায় বর্তমানে নানা কারণে অনেক মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নেই বললেই চলে। রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন মাঠ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খেলাধুলার জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকলেও স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের নীরব থাকতে দেখা যায়। শহরের রিজার্ভ বাজারে অবস্থিত শহীদ শুক্কুর স্টেডিয়াম ও তবলছড়ির সবুজ সংঘ মাঠ,শাহ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ,মুজাদ্দেদ অাল ফেসানী মাঠ বর্তমারে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান সামগ্রী রাখা দখল, বিভিন্ন কারনে মাঠগুলো অাজ খেলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।তাছাড়া তবলছড়ি পোষ্ট অফিস কলোনীর ছোট মাঠসহ যে সকল স্কুল-কলেজ,পাড়ার মাঠ অযত্নে অবহেলায় পড়ে অাছে সে মাঠগুলো সংস্কার করে খেলার উপযোগী করে ক্রীড়ামোদিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।এ অবস্থায় এসবের বিরুদ্ধে ক্রীড়া সংগঠক ও স্থানীয় প্রশাসন অান্তরিক না হলে মাঠ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সারা জেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানের দখলদার উচ্ছেদে স্থানীয় প্রশাসনকে ও স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।দলীয় নাম ভাঙিয়ে কেউ যাতে অবৈধ কোনো সুবিধা নিতে না পারে, সেদিকে প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। যে কোনো দখলদারের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নেবে, এটাই দেখতে চায়।মাঠসহ প্রতিটি মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান সর্বসাধারণের অবাধ ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে, এটাই কাম্য।
No comments:
Post a Comment