সকল বয়সের মানুষের সাঁতার জানা প্রয়োজন। সাঁতার হচ্ছে একটি অন্যতম ব্যায়াম। পৃথিবীতে যত প্রকার ব্যায়াম আছে তার মধ্যে সাঁতার শ্রেষ্ঠ ব্যায়াম। সাঁতার জানা থাকলে একদিকে পানির বিপদ থেকে জীবনকে রক্ষা করা যায় অপরদিকে নিয়মিত সাঁতার চর্চার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা যায়। তাই সাঁতার চর্চার কোন বিকল্প নেই।অামাদের দেশে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় অন্য যে কোনো কারণে শিশুমৃত্যুর চেয়ে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। আর এসব ঘটনা ঘটে সাধারণত পরিবারের অসচেতনতার কারণে। তবে পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়েসীদের মৃত্যু হয় সাঁতার না জানার কারণে।
বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশই ঘটছে পানিতে ডুবে। দেশে প্রতি ত্রিশ মিনিটে একটি শিশু মারা যাচ্ছে পানিতে ডুবে। আর বিশ্বে বছরে ১৭ হাজার শিশু পানিতে পড়ে মারা যায়।
খাল-নদী-পুকুর-দীঘির দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল সংখ্যক শিশু সাঁতার না জানার কারণে কেন মৃত্যুবরণ করে তা বিস্মিত করেছে সচেতন মহলকে। এর জন্য প্রধানত দায়ী করা হয়েছে পরিবারের অসচেতনতাকে।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যান্ড ইনজুরি সার্ভের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাঁতার না জানার কারণেই শিশুরা ডুবে যায়। সাধারণত দুর্ঘটনাগুলি ঘটে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে যখন মায়েরা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে এসময় সন্তানদের ভালোমতো খোঁজ নেওয়া সম্ভব হয় না তাদের।
এর জন্য অবশ্য আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থাও কম দায়ী নয়। প্রথমত যারা শহরে বসবাস করেন তাদের পক্ষে সন্তানদের সাঁতার শেখানোর মতো কোনো সুযোগ নেই।
প্রয়োজনীয় সুইমিংপুল না থাকা এবং নদী বা লেকের পাড়ে ঘনবসতির কারনে পর্যাপ্ত ঘাট না থাকার কারনে সবার পক্ষে সাঁতার শেখানো সম্ভব হয়ে ওঠছে না।
তাছাড়া আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে অনেক পরিবার এখন পুকুর,নদী বা লেক ব্যবহার করে না।
টিউবওয়েল বা ডিপটিউিবওয়েলের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করে বাড়ির ভেতরেই তারা গোসলখানা ব্যবহার করেন। ফলে শুধু শহরের নয় গ্রামের অনেক শিশু এখন সাঁতার শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শুধু সাঁতার না জানার কারণেই যদি ৪৩ শতাংশ শিশু মৃত্যুবরণ করে থাকে তবে বিষয়টি উদ্বেগের কারণ। এ বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি অভিভাবক বা বাবা-মাকে অগ্রণী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজ সন্তানের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সর্বাগ্রে। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। বছরের কোনো একটি সময়ে স্কুলের উদ্যোগে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে হ্যাঁ তার জন্য প্রয়োজন আগে সুইমিং পুলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা। জেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে গুরুর্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
Sunday, September 25, 2016
সাঁতার শেখার প্রয়োজনীয়তা
Thursday, September 22, 2016
৫০০তম টেস্ট
কানপুরে নিজেদের ৫০০তম টেস্ট খেলছে ভারত অভিষেকের ৮৪ বছর পর চতুর্থ দল হিসেবে এই মাইলফলক ছোঁয়া। ৫০০তম টেস্ট নিয়েই আজকের বিশেষ আয়োজন
১৩/১৪৮
দেশের ৫০০তম টেস্টে সেরা পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার ব্রুস রিডের। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ৭।
প্রথম৫০০টেস্টেপারফরম্যান্স
জয় হার টাই ড্র
ইংল্যান্ড ১৯০ ১২৬ ০ ১৮৪
অস্ট্রেলিয়া ২০৫ ১৪৪ ২ ১৪৯
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৩ ১৬৮ ১ ১৬৮
ভারতেরটেস্টরেকর্ড
ম্যাচ জয় হার টাই ড্র
৪৯৯ ১২৯ ১৫৭ ১ ২১২
২৮৫
প্রথম ৪৯৯ ম্যাচে ২৮৫ জন টেস্ট খেলেছেন ভারতের হয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছিলেন ২৯৯ জন, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৪৮ জন ও ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৬০ জন।
৫০০টেস্টেকোনদলেকতঅধিনায়ক
ভারত ৩২
ও. ইন্ডিজ ৩৫
অস্ট্রেলিয়া ৩৮
ইংল্যান্ড ৫৬
৯৭-১১৩-৮৬
টেস্ট অভিষেকের ৯৭ বছর পর ৫০০তম টেস্ট খেলেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১১৩ বছর, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮৬ বছর।
প্রতি১০০টেস্টেভারতেরপারফরম্যান্স
সময় জয় হার ড্র/টাই
১-১০০ ১৯৩২-১৯৬৭ ১০ ৪০ ৫০
১০১-২০০ ১৯৬৭-১৯৮২ ২৫ ৩২ ৪৩
২০১-৩০০ ১৯৮২-১৯৯৬ ২১ ২৬ ৫২/১
৩০১-৪০০ ১৯৯৬-২০০৬ ৩২ ৩১ ৩৭
৪০০-৪৯৯ ২০০৬- ৪১ ২৮ ৩০
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ভারতও ৫০০তম টেস্ট খেলছে দেশের মাটিতে।
দেশের ৫০০তম টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন চন্দরপল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫০০তম টেস্টে প্রথম ইনিংসে কেমার রোচ ও দ্বিতীয় ইনিংসে সুলিমান বেন ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
৫০০তম
ইংল্যান্ড
১৯৭৪ সালে হেডিংলিতে প্রথম দল হিসেবে ৫০০তম টেস্ট খেলে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। রোমাঞ্চের সম্ভাবনা জাগানো শেষ দিনটি বৃষ্টি ভাসিয়ে নিলে ম্যাচটি ড্র হয়। শেষ দিনে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৪৪ রান, পাকিস্তানের ৪ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়া
১৯৯০ সালে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টটা জিতেই উপলক্ষটা উদ্যাপন করেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে এগিয়ে থাকার পরও হেরে যায় ইংল্যান্ড। সেটিও খুব নাটকীয়ভাবে। ৩ রানের মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে।
ওয়েস্টইন্ডিজ
২০১৪ সালে ৫০০ টেস্টের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে যায় ২৯৬ রানে।
Friday, September 16, 2016
ইতিহাসের সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাটসম্যান কে?
টেস্ট ক্রিকেট দেখতে দেখতে মাঠে ঘুমিয়ে পড়ার দৃশ্য আগে বেশ দেখা যেতো টেলিভিশনের পর্দাতেও। এতটাই শম্বুক ছিল খেলার গতি। ব্যাটসম্যানদের গতি। এখন হয়ত টেস্ট ক্রিকেটের গতি বেড়েছে। কিন্তু টেস্ট তো আসলে সময় নিয়ে খেলা। ধৈর্যের আসল পরীক্ষার খেলা। তাই এই প্রশ্নটাও আসতে পারে যে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাটসম্যান ছিলেন কে? জবাব মেলাটা কঠিন।
একসময় টেস্ট ছিল টাইমলেস। মানে সময় বাঁধা ছিল না। এখন যেমন ৫ দিনের খেলা ছিল তেমন ছিল না তখন। দেখা গেল ৭/৮ দিনের খেলা শেষ। ফল হয়নি। এমন সময় জাহাজ ছেড়ে যাবে। তাই সফরকারী দল খেলা ওখানে গুটিয়ে রেখে সোজা বন্দরে। আর ওইসব দিনগুলোর নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যন মেলা প্রায় অসম্ভব।
গেল ৩০-৪০ বছর ধরে পরিসংখ্যান রাখাটা এক রীতি হয়েছে। যেটিতে জোর দেওয়া হয় খুব। তো আগের দিনগুলোতে ব্যাটসম্যানদের অনেকে রীতিমতো পাহাড়ের মতো অনড়-অব্যয় হয়ে থাকতেন ক্রিজে। ইংল্যান্ডের উইলিয়াম স্কটোনের কথাই ধরুন। এই বাঁ হাতি একবার ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে পুরো ইনিংসে ব্যাট ক্যারি করেছিলেন। অপরাজিত ছিলেন কত রানে? মাত্র ৯!
১৯৫০ এর দিকে ট্রেভর বেইল ইংল্যান্ডের ডিফেন্স মাস্টার ব্যাটসম্যান ছিলেন। ব্রিসবেন টেস্টে ১৮৫৮-৫৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৫৮ মিনিট খেলে ৬৮ রান করেছিলেন। ওই ম্যাচেই দর্শকের পীড়ার আরো বড় কারণ হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান জিম বার্ক। ২৫০ মিনিটে করেছিলেন ২৮ রান।
কিন্তু যে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় সেই রেকর্ডটা নাড়াচাড়া করে দেখা যাক। দেখা যাচ্ছে টেস্টে ১০০০ রান করাদের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতিতে রান করার রেকর্ডটি বব টেলরের। ১৯৭০-৮০ তে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ছিলেন তিনি। ১১৫৬ রান তিনি করেছিলেন ৪২৬০ বল খেলে। ১০০ বলে ২৭.১৪ রান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানেও ইংলিশ ব্যাটসম্যান। বিখ্যাত অধিনায়ক মাইক বিয়ারলির ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট ২৯.৮০। ক্রিস টেভারের ৩০.৬০।
এরপরের জায়গায় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক বিল উডফুল। ১০০ বলে ৩১.১২ রান করার রেকর্ড তার। নিউজিল্যান্ডের ব্রুস এডগার ৩২.০৭ নিয়ে এর পরই। ওয়ানডেতেও বিয়ারলি পিছিয়ে থাকাদের নেতা! যদিও এই সংস্করণে মাত্র ৫১০ রান করেছিলেন। খেলেছিলেন ১১২০ বল। ৪৫.৫৪ স্ট্রাইক রেট। ১০০০ রানের বেশি করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই ধীরগতির ব্যাটিংয়ে এক নম্বরে এডগার। তার স্ট্রাইক রেট ৪৯.২৩।
ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয় যেন আরেক কলসিন্দুর
ফুটবল খেলে ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়েরা চমকে দিয়েছে সারা দেশের মানুষকে। একই ধরনের প্রতিভা থাকলেও প্রচারের আলো পড়েনি ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের কিশোরী ফুটবলারদের ওপর।
জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০১৬ রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয় বালিকা ফুটবল দল তৃতীয়বারের মতো উপ-অঞ্চল (বকুল) চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিগত তিন বছর দলটি কলসিন্দুরের মেয়েদের কাছে হেরে জাতীয়ভাবে রানার্সআপ হয়েছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা।
৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ‘বকুল’ উপ-অঞ্চলের চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে খেলা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল মাঠে। প্রতিযোগিতার ফাইনালে ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার রাজানগর উপজেলার মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় দলকে ৬-০ গোলে পরাজিত করে উপ-অঞ্চল চ্যাম্পিয়ন হয়।
ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয় বালিকা ফুটবল দলের কোচ শান্তি মণি চাকমা জানান, তঁার দল এর আগে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে জাতীয় প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। এই দলের আনুচিং মগিনি, আনাইচিং মগিনি ও মনিকা চাকমা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছে।
শান্তি মণি চাকমা জানান, ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয় বালিকা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের নানা প্রতিকূলতার মধ্যে অনুশীলন করতে হয়। তারা সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। কয়েকজন খেলোয়াড় ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ভবনে গাদাগাদি করে থাকে। আর অন্য খেলোয়াড়দের প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অনুশীলনে আসতে হয়। অনুশীলনের পর ভালো খাবারও দিতে পারেন না। তারপরও তাঁর দল গত দুই বছর জাতীয় রানার্সআপ হয়েছে। এবার সবাই চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার সেই দুঃখ ঘোচাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেভাবে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে বালিকা ফুটবলারেরা।
দলের সদস্যরা হলো রূপনা চাকমা, মনিকা চাকমা, আনুচিং মগিনি, আনাইচিং মগিনি, মাউচাই মারমা, সুইনুচিং মারমা, জিতা চাকমা, বীথি চাকমা, মলিনি চাকমা, উমেচিং মারমা, তন্নি দেওয়ান, রিয়া চাকমা, থুইমা মারমা, চম্পা চাকমা, উনুপ্রু মারমা ও ইহা চিং মারমা।
Wednesday, September 14, 2016
রাঙামাটি সাবেক ক্রিকেটারদের প্রীতি ম্যাচ
অাজ রাঙামাটি জেলা দল ও বিভিন্ন ক্লাবের সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা বসেছিল তবলছড়ি মাঝেরবস্তি এলাকার শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
সাবেক জেলা ক্রিকেটার নাজিম উদ্দিনের উদ্দ্যেগে অাজ ১৪ সেপ্টেম্বর শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।ম্যাচে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র অাকবর হোসেন চৌধুরীও অংশগ্রহন করেন।দুই দলে ভাগ হয়ে সাবেক ক্রিকেটাররা খেলায় অংশগ্রহন করেন।এক দলের অধিনায়ক ছিলেন রাঙামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাবেক ক্রিকেটার রাজিব ত্রিপুরা অন্য দলের অধিনায়ক ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার জাহাঙ্গীর অালম।টসে জিতে রাজিব ত্রিপুরা ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।নির্ধারিত ১৬ ওভারে ১৩৬ রান করে অল অাউট হয় রাজিব ত্রিপুরার দল।দলের পক্ষে জসিম উদ্দিন ২৯, লালু ২৫ ও নিজাম উদ্দিন ২৩ রান করে করেন।পৌর মেয়র অাকবর হোসেন চৌধুরী শেষ দিকে নেমে দলীয় রান বাড়াতে গিয়ে ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বাবু হাতে ক্যাচ অাউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত অাসেন।
বিরতির পর জাহাঙ্গীর অালমের দল ১৩ ওভারের সময় ১৩৭ রান করে জয় লাভ করেন।দলের পক্ষে বাবু পাটোয়ারী ৪১ রান ও রাশেদ অালম ২৭ রান করেন।শেষ দিকে ২ বলে নাছির উদ্দিন সোহেল একটি ৪ ও একটি ৬ মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পোঁছে দেন।
রাজিব ত্রিপুরা একাদশঃ
রাজিব ত্রিপুরা
হান্নান
নেজাম উদ্দিন
সায়েম
জসিম উদ্দিন
ভুট্টু
লালু
মহিতোষ
সাকু
মিঠু
অাকবর হোসেন চৌধুরী
অাজম
জাহাঙ্গীর অালম একাদশঃ
জাহাঙ্গীর অালম
নিপুন
নতুন
নাছির উদ্দিন সোহেল
নাজিম উদ্দিন
রাশেদ
বাবু
মিজানুর রহমান বাবু
শাওন
সায়ান
Tuesday, September 6, 2016
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলে তিন চমক!
সোহরাওয়ার্দি শুভর অফ ফর্মের কারণে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডেকে আনা হয়েছে অভিজ্ঞ স্পিনার মোশাররফ রুবেলকে। শুধু তাই নয়, তিন প্রস্তুতি ম্যাচের দুটিও খেলেছেন তিনি। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। যদিও, বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটিতে উইকেট পাননি তিনি।
তবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়ে গেলেন মোশাররফ রুবেল। আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে জায়গা পেয়ে গেলেন এই স্পিনার। শুধু মোশাররফই নন, আসন্ন দুটি সিরিজের জন্য ঘোষিত জাতীয় দলে চমক হিসেবে যুক্ত হয়ে গেলেন আরও দু’জন। দু’জনই অলরাউন্ডার। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং আলাউদ্দিন বাবু।
জাতীয় দলের জন্য ডাকা ৩০ জনের প্রাথমিক ক্যাম্পে ছিলেন না এই তিনজন। মোশাররফ রুবেল, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং আলাউদ্দিন বাবুকে রাখা হয়েছিল এইচপিতে। যদিও ক্যাম্প চলাকালীনই সেখানে অন্তর্ভূক্ত করা হয় মোশাররফ রুবেলকে। বাকি দু’জনকে টেনে নিয়ে আসা হলো এইচপিএতে।
আজ সন্ধ্যার পরই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ২০ সদস্যের জাতীয় দল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। তবে তার আগেই বিসিবির বিশেষ সূত্র থেকে ২০ জনের জাতীয় দলে শেষ মুহূর্তে এ তিনজনের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আফগানিস্তান সিরিজের জন্য এখান থেকেই ১৪ জনের ওয়ানডে দল বাছাই করা হবে। এরপর ইংল্যান্ড সিরিজ। ওই সিরিজের জন্যও ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট দল বাছাই করা হবে এই ২০ জন থেকে।
২০ জনের দলে থাকলেও ওয়ানডে সিরিজের ১৪ সদস্যের মূল দলে মোশাররফ রুবেল থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় রয়েছে গুঞ্জন। মূল দলে থাকারই সম্ভাবনা বেশি। কারণ, স্পিন স্পেশালিস্ট হিসেবে আর কেউ নেই দলে। আরাফাত সানি রয়েছেন অ্যাকশন সমস্যায়। বিকল্প হিসেবে সোহরাওয়ার্দী শুভকে ডাকা হলেও, তিনি অফ ফর্মে। সুতরাং, ওয়ানডে দলে স্পিন স্পেশালিস্ট হিসেবে জায়গাটা পেয়েই যেতে পারেন রুবেল।
ঘরোয়া লিগে সব সময়ই থাকেন উইকেট শিকারীদের তালিকায় শীর্ষে। তারই পুরস্কার হিসেবে ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন মোশাররফ রুবেল। যদিও ওই সিরিজটাকে ভুলে থাকতে চাইবেন তিনি। কারণ, ৩ ম্যাচ থেকে নিয়েছেন মাত্র ১টি উইকেট।
এরপরই বিসিবির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রুবেল নাম লেখান ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত লিগ আইসিএলে। যে কারণে দীর্ঘদিন ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাইরে। কালিমা মুছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে পারলেও অনেক দিন পার হয়ে যাওয়ায় আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার আশাই যেন ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে যথারীতি ছিলেন ঘরোয়া লিগের সেরা পারফরমার।
এ কারণেই ভারতীয় স্পিন পরামর্শক ভেংকটিপথি রাজু। এইচপিতে খণ্ডকালীন কোচিং করাতে এসে রুবেলের পারফরম্যান্স দেখে বিসিবিকে পরামর্শ দিয়ে যান তাকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডেকে পরখ করতে। সে ধারাবাহিকতায়ই ভাগ্য খুলে গেলো মোশাররফ রুবেলের।
Sunday, September 4, 2016
মাদক-জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আমাদের যুব সমাজকে ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রাখতে পারলেই কেবল সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের ভয়াবহতা থেকে তাদের মুক্ত রাখতে পারবো।'
রোববার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশসেরা ক্রীড়াবিদদের মাঝে ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যুবসমাজের মাঝে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যপরায়ণতা এবং দেশপ্রেম সৃষ্টি করে। আমরা তাদেরকে যতবেশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে পারবো ততবেশি তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে।'
খেলাধুলার সাথে স্বাস্থ্য ও মনের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সুস্থ দেহ মানেই সুস্থ মন। খেলাধুলা জীবনকে করে সুন্দর ও পরিশীলিত।'
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপও জয় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে দাবির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ডে ৬ এপ্রিলকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে পালনের কথাও অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন।
দেশের স্বাধীনতা-উত্তর ক্রীড়াঙ্গণের উজ্জ্বল নক্ষত্র আবাহনী ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পদক (মরণোত্তর) ২০১১, বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান ২০১২ সালে এবং ২০১১ সালে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন। মোট ৩২ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে এই পদক প্রদান করা হয়।
দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করতে ১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পদক চালু করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১৮৮ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এ পদক পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের দেশের যুবসমাজ আজ নানাভাবে বিপথগামী হচ্ছে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের দিকে পা বাড়াচ্ছে। এ যুবসামজকে যদি আমরা ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সক্রিয় রাখতে পারি তাহলে আমরা দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারবো।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যুবসমাজের মাঝে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যপরায়ণতা এবং দেশপ্রেম সৃষ্টি করে। আমরা তাদেরকে যতবেশি এই খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে পারবো ততবেশি তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সুস্থ দেহ থাকলে একটি সুস্থ মনও থাকবে। তখন আর মনটা এদিক অদিক যাবে না। এখন যেমন একটা অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে। এই যেমন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বা মাদকাশক্তি এগুলো মানুষের মন, মানসিকতা এবং স্বাস্থ্য নষ্ট করে দিচ্ছে। সমাজকে কলুষিত করে দিচ্ছে। কাজেই এখন থেকে আমাদের যুবসমাজ এবং সবাইকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমি মনে করি- আমাদের খেলাধুলার আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।'
এসব দিকে চিন্তা করেই তার সরকার ছেলে-মেয়েদেরকে খেলাধুলায় যতবেশি সম্পৃক্ত করা যায় সেই চিন্তা-ভাবনা থেকে প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ছেলে মেয়েদের জন্য প্রাধমিক পর্যায় থেকেই আলাদা আলাদা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা। এই আয়োজনটা সারা বাংলাদেশেই সাড়া জাগাচ্ছে এবং অনূর্ধ্ব ১৬ (মহিলা) দলের চ্যম্পিয়ন হবার গৌরবের পেছনে এই টুর্নামেন্টের ভূমিকা রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্র্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকতার উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
Thursday, September 1, 2016
খেলার মাঠ দখল
খেলার মাঠসহ উন্মুক্ত জায়গার পরিমাণ কমে যাওয়ায় সব বয়সী মানুষের খেলাধুলা, শরীরচর্চাসহ চিত্তবিনোদনের সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে। কয়েক দশক আগেও মাঠ ছাড়া বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ছিল কল্পনাতীত। আর বর্তমানে কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার সুযোগ থাকার বিষয়টি বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করা হয়। মাঠ ও উন্মুক্ত জায়গার তীব্র সংকটে রাঙামাটি জেলার অনেক শিশু-কিশোর প্রায় গৃহবন্দি জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে তাদের স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। রাঙামাটি জেলায় বর্তমানে নানা কারণে অনেক মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নেই বললেই চলে। রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন মাঠ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খেলাধুলার জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকলেও স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের নীরব থাকতে দেখা যায়। শহরের রিজার্ভ বাজারে অবস্থিত শহীদ শুক্কুর স্টেডিয়াম ও তবলছড়ির সবুজ সংঘ মাঠ,শাহ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ,মুজাদ্দেদ অাল ফেসানী মাঠ বর্তমারে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান সামগ্রী রাখা দখল, বিভিন্ন কারনে মাঠগুলো অাজ খেলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।তাছাড়া তবলছড়ি পোষ্ট অফিস কলোনীর ছোট মাঠসহ যে সকল স্কুল-কলেজ,পাড়ার মাঠ অযত্নে অবহেলায় পড়ে অাছে সে মাঠগুলো সংস্কার করে খেলার উপযোগী করে ক্রীড়ামোদিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।এ অবস্থায় এসবের বিরুদ্ধে ক্রীড়া সংগঠক ও স্থানীয় প্রশাসন অান্তরিক না হলে মাঠ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সারা জেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানের দখলদার উচ্ছেদে স্থানীয় প্রশাসনকে ও স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।দলীয় নাম ভাঙিয়ে কেউ যাতে অবৈধ কোনো সুবিধা নিতে না পারে, সেদিকে প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। যে কোনো দখলদারের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নেবে, এটাই দেখতে চায়।মাঠসহ প্রতিটি মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান সর্বসাধারণের অবাধ ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে, এটাই কাম্য।