Sunday, October 30, 2016

প্রথম ম্যাচে হারলো রাঙামাটি অনুর্ধ্ব ১৮ ক্রিকেট দল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে ইয়াং টাইগার অনুর্ধ্ব ১৮ বয়স ভিত্তিক  জাতীয় ক্রিকেট বিভাগীয় প্রতিযোগিতা  ২০১৬-১৭ ক্রিকেটে ৩০ অক্টোবর রবিবার কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামে রাঙ্গামাটি জেলা অনুর্ধ্ব ১৮ ক্রিকেট দল তাদের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের ব্যাবধানে কুমিল্লা জেলা অনুর্ধ্ব১৮ ক্রিকেট দলের কাছে পরাজিত হয়েছে।
ম্যাচে টসে জিতে রাঙ্গামাটি জেলা দল ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।রাঙ্গামাটি জেলা দল দলীয় ১১ রানে ১ম ও ১২ রানে অারো ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে।কক্সবাজার জেলা দলের অাফতাব অাহম্মেদ একাই ৪ উইকেট নিয়ে রাঙামাটি জেলা দলকে গুড়িয়ে দেন।রাঙামাটি জেলা দল ৪০.৫ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।দলের পক্ষে হাবিবুর রহমান কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন।হাবিবুর ৩৭ ও মোজাম্মেল হোসেন ১৪ উল্লেখযোগ্য রান করেন।রাঙামাটির চারজন ডাক মারেন।
কুমিল্লা জেলা দল বিরতির পর ৯৮ রানের টার্গেটে নেমে রাঙামাটি জেলা দলের বোলিং তোপে প্রথমে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারালেও মাকসুদুর ও কাজী শাহাবুদ্দিনের ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়।মাত্র ৩১.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রানের লক্ষে পোঁছে যায়।মাকসুদুর  ২৫ ও কাজী শাহাবুদ্দিন ১৫ রান করে  অপরাজিত থেকে দলকে বিজয়ী করে মাঠ ছাড়েন।রাঙামাটির পক্ষে সারওয়ার হোসেন ২ উইকেট নেন। অাগামী ১ নভেম্বর রাঙামাটি ২য় ম্যাচে চাঁদপুরের মোকাবেলা করবে।রাঙামাটি জেলা দলের সাথে কোচ হিসেবে রয়েছেন বিকেএসপি থেকে কোর্স করা বেলাল হোসেন সাকো ও ম্যানেজার পিকু।

Saturday, October 8, 2016

হারলেও বাংলাদেশ জিতলেও বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে ইদানিং সমালোচনা করতে ভালো লাগেনা অামার।কারন বিশ্বমানের ক্রিকেট কোচ ও খেলোয়ার বাংলাদেশ দলে। উনারা অামরা যে লেবেল থেকে ক্রিকেট দেখি সে লেবেল নিজেরা খেলে বিশ্ব ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছেন।উনারা কোন অংশে অামাদের চেয়ে ক্রিকেট কম বুঝেন বলে মনে করিনা পারতপক্ষে অনেক বেশি দলের বিজয় নিয়ে সিরিয়াস থাকেন।কোচ দল হারলে তার সমালোচনা ও সফলতা নিয়ে বিব্রত থাকেন।খেলোয়ার ও ম্যানেজম্যান্টও তদ্রুপ দলের সাফল্য নিয়ে বিচলিত ও চিন্তিত থাকেন।অামরা খেলার মাঠের বাহির থেকে অনেক বেশি সমালোচনা করি কারন খেলা বা পারিপার্শ্বিক চাপকে জয় করা এত সহজ না।অাপনার প্রতিপক্ষকে চিন্তা করে দলের ভালো মন্দের সমালোচনা করতে হবে।ইংল্যান্ড দলের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স অামলে নিতে হবে।এ দলটা বর্তমানে বিশ্বসেরা দলগুলোর মধ্যে একটি।তাদেরকে অাফগানিস্তানের সাথে মেশাবেন না।অামরাও কিন্তু অাফগানিস্তানের সাথে বিপদে পড়ে সম্প্রতি ম্যাচে অভিজ্ঞতা দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছি।
অামার মনে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সমর্থন করুন তবে তা অাবেগ নির্ভর যেন না হয়।সব কিছু বিবেচনা নিয়ে মানসিকভাবে দর্শকদের খেলার জয়-পরাজয় নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।অাপনাদের অাবেগী কথা বার্তায় দলের লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি।মানসিক চাপ বাড়াতে সমর্থকদের সমালোচনাই যথেষ্ট।তাই দলকে সমর্থন করুন বিপদের সময়ও।অহেতুক সবাই ক্রিকেটার হয়ে যাবেন না।বাস্তব সত্যিটা উপলব্ধি করুন সবাই।বিজয় খুব বেশি দূরে নয় অামাদের।হয়তো পরের ম্যাচেই।

Tuesday, October 4, 2016

চট্রগ্রাম ক্রিকেট লীগে পার্বত্য খেলোয়ার কোটা চাই

পার্বত্য জেলার তিন জেলা রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে প্রতিশ্রুতবান ক্রিকেট খেলোয়ার নিজেদের বড় সুযোগ হিসেবে চট্টগ্রাম ক্রিকেট লীগে গত ৫ বছর অাগে স্থানীয় খেলোয়ার কোটাই ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহন করতে পারতো।কিন্তু ২০১০/১১ সালের পর পার্বত্য এলাকার খেলোয়ারদের স্থানীয় খেলোয়ারের বদলে বহিরাগত খেলোয়ার কোটায় চট্টগ্রাম ক্রিকেট লীগে খেলতে হচ্ছে যা এ অঞ্চলের ক্রিকেটারদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।পার্বত্য এলাকায় সীমিত পরিসরে ক্রিকেট আয়োজন হয়।অায়োজকদের ফুটবল প্রীতি পার্বত্য অঞ্চলের ক্রিকেটকে কোনঠাসা করে রেখেছে।চট্টগ্রাম লীগে পার্বত্য ক্রিকেট খেলোয়ারদের যা একটা সুযোগ ছিল খেলে নিজের প্রতিভা বিকাশের তাও চট্টগ্রাম আয়োজকদের কোটা প্রথায় নষ্ট হতে চললো।কারন চট্টগ্রাম জেলার বহিরাগত কোটায় ঢাকা ও অন্যান্য ক্রিকেটার সমৃদ্ধ জেলা থেকে কোটায় খেলোয়ার অানে ক্লাবগুলো।এর ফলশ্রুতিতে পার্বত্য এলাকার ক্রিকেটাররা চট্টগ্রাম লীগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।অন্যান্য জেলার ক্রিকেটাররা নিজেদের জেলায় নিয়মিত ক্রিকেট লীগ হওয়ার দরুন পার্বত্য এলাকার ক্রিকেটারদের থেকে যোজন যোজন দূরত্বে এগিয়ে।ফলে চট্টগ্রামের ক্লাবগুলো পার্বত্য এলাকার ক্রিকেটারের চেয়ে অন্যান্য জেলার ক্রিকেটারের উপর নির্ভরশীল বেশি।তাই পার্বত্য তিন জেলার ক্রিকেটারদের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রাম ক্রীড়া সংগঠকদের কাছে অনুরোধ পার্বত্য তিন জেলার ক্রিকেটাররা যেন স্থানীয় কোটায় অাগের মত খেলার সুযোগ করে দেয়।