Tuesday, October 31, 2017

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে খাগড়াছড়ি এক উইকেটে জয়ী

৩৮ তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার টায়ার-১ এর মৌলভীবাজার ভেন্যুতে অাজ সোমবার শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচে খাগড়াছড়ি জেলা দল সুনামগঞ্জ জেলা দলকে এক উইকেটে পরাজিত করে দারুন শুভ সূচনা করেছে।
সকালে গত দুইদিনের বৃষ্টির কারনে মাঠের কিছু স্থান খেলার অনুপযুক্ত থাকায় খেলা নির্ধারিত সময়ের তিন ঘন্টা পর শুরু হয়।অাম্পায়াররা দুপুর ১২ টায় ৩০ ওভারের কার্টেল ওভার ম্যাচ শুরু করেন।সুনামগঞ্জ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে শক্তিশালী সুনামগঞ্জ জেলা দল।তিন ওভার পরে অাবারো পঞ্চম ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে ৪ উইকেটে ১৮ রান করে ভীষন বিপদে পড়ে সুনামগঞ্জ  জেলা।সে বিপর্যয় থেকে তাজিন ও নিপু সুনামগঞ্জকে নির্ধারিত ৩০ ওভারে ৯ উইকেটে সম্মানজনক স্কোর ১১৪ রানে নিয়ে যান।তাজিন ও নিপু উভয়ে ১৯ রান করে করেন।খাগড়াছড়ির মমিন ও কাদের ৩ টি করে উইকেট নেন।
বিরতির পর খাগড়াছড়ি জেলা দল প্রথমে দুই উইকেট হারালেও বাকী ব্যাটসম্যানরা সতর্ক হয়ে খেলতে থাকেন।ম্যাচের এক পর্যায়ে অাস্কিং রেট বাড়াতে গিয়ে খাগড়াছড়ি দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে।খাগড়াছড়ির জেলার জেতার জন্য শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজন পড়ে হাতে শেষ উইকেট।প্রথম দুই বলে ৩ রান নিয়ে শেষ তিন বলে ৬ রানের সমিকরনের সময় খাগড়াছড়ি জেলা দলের অারমান ওভারের চতুর্থ বলে বোলারের মাথার উপর দিয়ে সোজা ছয় মেরে দলকে অবিশ্বাস্য ১ উইকেটের জয় এনে দেন।অারমান অপরাজিত ২৫ রান ও ১ উইকেট পেয়ে ম্যান অব দি ম্যাচ হন।

Monday, October 30, 2017

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত রাঙামাটির প্রথম ম্যাচ

৩৮ তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ক্রিকেট ২০১৭/১৮ মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে অাজ রাঙামাটি ও কক্সবাজারের ভেন্যুর প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারনে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়।উভয় দলকে ১ টি করে পয়েন্ট ভাগ করে দেওয়া হয়।
সকাল ৯ ঘটিকার সময় টায়ার-২ এর মৌলভীবাজার ভেন্যুর জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ টুর্নামেন্ট উদ্ভোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ তোফায়েল ইসলাম।উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অারো উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা অাওয়ামীলীগে নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক মিছবাহুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ক্রিকেট উপ-পরিষদের অাহবায়ক অাশরাফুর রহমান,ক্রিকেট উপ-পরিষদের সদস্য সচিব নাহিদ হোসেন।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মৌলভীবাজার জেলা ক্রিকেট কোচ মোঃ রাসেল।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম তার বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা ও কক্সবাজার জেলা দলসহ বাকী দুইটি দলকে এতদূর থেকে খেলতে অাসায় কৃতজ্ঞতা জানান।তিনি ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকারের অান্তরিকতা ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।তিনি সকল খেলোয়ার ও কর্মকর্তাদের ক্রিকেট স্পিরিট বজায় রেখে প্রতিযোগিতাকে সুন্দরভাবে শেষ করার সহযোগিতা করার অাশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শেষে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এবং মাঠ খেলার অনুপযুক্ত থাকায় দুপুর ১ ঘটিকায় ম্যাচ রেফারী ম্যাচটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন।রাঙামাটি ও কক্সবাজার দলকে ১ পয়েন্ট করে ভাগ করে দেন।রাঙামাটির পরবর্তী খেলা ৩ নভেম্বর সুনামগঞ্জের সাথে।

Sunday, October 8, 2017

কারাতে স্বর্ণ জিতলো রাঙামাটির অমিত

সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দুদিন ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ফেডারেশন কাপ কারাতে চ্যাম্পিয়নশীপে স্বর্ণ পদক জিতে রাঙামাটি জেলার হয়ে আবারো সুনাম বয়ে আনলো কারাতে খেলোয়াড় অমিত কান্তি দে। ৩০ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাকী কারাতেদের ধরাশায়ী করে এ গৌরব অর্জন করে সে।। ঢাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত এবারের কারাতে চ্যাম্পিয়নশীপে অমিত স্বর্ন পদক ছাড়াও জিতেছে ১টি ব্রোঞ্জ। অমিত ছাড়াও রাঙামাটির আরো ৪ কারাতে খেলোয়াড় জিতেছে ৬টি পদক

যার মধ্যে ১টি রৌপ্য ও ৫টি ব্রোঞ্জ রয়েছে। 
২৯-৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই চ্যাম্পিয়নশীপে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার হয়ে সর্বমোট ১২ জন কারাতে খেলোয়াড় বিভিন্ন বয়স এবং ওজন শ্রেনীতে অংশ গ্রহন করে। প্রতিযোগীদের মধ্যে অমিত কান্তি দে কুমিতে (ফাইট) ৩০ কেজি ওজন শ্রেনীতে অংশ গ্রহন করে একমাত্র স্বর্ন পদকটি ছিনিয়ে আনে। সে রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। ফুরোমোন জুডো কারাতে এসোসিয়েশন এর নিয়মিত কারাতে শিক্ষার্থী। এর আগে সে ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস কারাতে প্রতিযোগীতার কুমিতে (ফাইট) ২৫ কেজি ওজন শ্রেনীতে স্বর্ণ পদক লাভ করে। রাঙামাটি জেলার হয়ে অমিত একমাত্র কারাতে খেলোয়াড় যে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ পদক লাভ করেছে। ক্রমশঃ সে নিজেকে রাঙামাটির স্বর্ণ বালক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলছে সে। তার বাবা তপন কান্তি দে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় চতুর্থ শ্রেনী’র চাকুরীজীবি। রাঙামাটি কারাতে প্রশিক্ষক যশস্বী চাকমা বলেন, অমিত কান্তি দে’কে সরকারী  বেসরকারী পর্যায়ে সহযোগিতা করা গেলে আগামীতে সে একজন বড় মাপের কারাতে খেলোয়াড় হয়ে গড়ে উঠবে।
এদিকে অমিতের অর্জনের পাশাপাশি রাঙামাটির সুদর্শন চাকমা একটি রোপ্য, শ্রাবস্তী তালুকদার ও জোসি চাকমা ২টি করে এবং সর্বোত্তমা চাকমা একটি ব্রোঞ্জ জিতেছে। 
উল্লেখ্য, প্রথম বারের মত আয়োজিত ফেডারেশন কাপ কারাতে চ্যাম্পিয়নশীপ ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। প্রতিযোগিতার টিম কুমিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এবারের চ্যাম্পিয়নশীপে মোট ৭০টি ক্যাটাগোরীতে দেশের বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, সার্ভিসেস দল, ব্যাংক, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন ক্লাব হতে প্রায় এক হাজার খেলোয়াড় অংশ গ্রহন করে।